-
দশমিকের যোগের পরিবেশনায় স্বাগতম
-
কিছু সমস্যার সমাধান করা যাক
-
ধরা যাক আমার ছিল .০০৮৫ যোগ
-
আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই পাশাপাশি রেখেছি-- ১.৭৯৯
-
সুতরাং প্রথমে তোমার মনে হতে পারে
-
যে এরা তোমাকে বিভ্রান্ত করছে,বুঝতে পারছো না,তাই চেষ্টা করে লাভ নেই
-
কিন্তু আমি এখানে দেখাব যে আসলে এটা খুবই সোজা একটা জিনিস
-
আর এটা সাধারণ যোগ বিয়োগের চেয়ে কঠিন কিছুই নয়
-
এখানে শুধু একটা জিনিসের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে
-
যখন দশমিকের অঙ্ক করবে
-
দশমিকটাকে এক লাইনে রাখতে হবে
-
প্রথম সংখ্যা দিয়ে শুরু করা যাক
-
নতুন করে লিখি যাতে আমরা এখন অঙ্কটা করতে পারি
-
.০০৮৫
-
এখন দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য
-
দশমিকটাকে প্রথম সংখ্যার দশমিকের ঠিক নিচে রাখি
-
এবার সংখ্যাটি লিখি
-
এটি হল ১.৭৯৯
-
এখন আমরা শুধু সংখ্যা দুটির দশমিক বিন্দু কে এক বরাবর রেখে পরপর দুই লাইনে সংখ্যাটি লিখলাম
-
আমরা চাইলে এর ক্রমও পরিবর্তন করতে পারি
-
আমরা প্রথমে ১.৭৯৯ লিখে পরে .০০৮৫ লিখতে পারতাম
-
মূল জিনিসটা
-
বুঝতে পারলেই তুমি এখনই যোগ করতে পারবে
-
তুমি এখনই বুঝতে পেরে গেছ কিভাবে দশমিকের যোগ করতে হবে
-
তা হল দশমিকে বিন্দুগুলোকে এক বরাবর রাখতে হবে
-
এখন দশমিক গুলোকে এক বরাবর রাখা হয়ে গেলে
-
আমরা যোগ করার জন্য প্রস্তুত
-
কিন্তু
-
এখানে একটা অদ্ভুত জিনিসের কথা তুমি বলতে পার
-
যে ৫ এর নিচের লাইনে কিছুই নেই।যোগ কিভাবে করবে?
-
এটি আসলে খুবই সোজা জিনিস
-
এখানে শুধু একটা শুণ্য বসিয়ে দাও
-
এটা কিভাবে সম্ভব?
-
কিভাবে আমি হঠাৎ করে একটা শূন্য নিয়ে আসলাম?
-
আমি ঠিক যানি না আমি তোমাদের কে এ ব্যাপারে আন্য কোথাও বলেছি কিনা
-
কিন্তু যখন তুমি দশমিকের পরে একদম শেষে শূন্য যোগ করবে
-
সংখ্যাটির মানের কোন পরবর্তন হয় না
-
আশা করি বুঝতে পেরেছ
-
১.১০ আর ১.১ একই কথা
-
১.১০০ ও একই কথা
-
এরা সবাই এক এবং এক দশমাংশ
-
শূন্যগুলো আসলে আর নির্ভুলতার মাত্রা বাড়ায় বলা যায়
-
যা আসলে এর মানের কোন পরিবর্তন করে না
-
পরে আমি যখন তোমদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখাবো
-
তখন হয়ত এই মাত্রার নির্ভুলার প্রয়োজন হতে পারে
-
কিন্তু এখন নয়
-
শুধু মানটাই দরকার
-
আমি এখানে যেভাবে শূন্য যোগ করেছি,তোমরাও করতে পার
-
শেষে শূন্য যোগ করতে পার
-
আসল মানের কোন পরিবর্তন না করেই
-
এখন যোগ করি
-
৫+০=৫
-
৮+৯=১৭
-
১+০+৯=১০
-
এক হাতে রাখ
-
১+০+৭=৮
-
এখন হাতে রাখা এক আন
-
কারণ এর সাথে যোগ করার কিছুই নেই
-
চাইলে এখানে শেষে শূন্য যোগ করা যায়
-
আমার স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক
-
সে বলে যে শেষে শূন্য যোগ করা দরকার
-
যাতে করে কেউ ভুল পরিমাণের ওষুধ না পায়
-
যাই হোক,আমাদের কাজ প্রায় শেষ
-
আমরা যোগের কাজ সেরেছি
-
এখন আমাদের শুধু দশমিকের বিন্দুটার অবস্থান ঠিক করতে হবে
-
দশমিক বিন্দুটা ঠিক নিচে বসবে
-
আমরা এটা করতে পারি
-
কারণ আমরা শুরুতেই বিন্দুগুলোকে এক বরাবর রেখেছি
-
সুতরাং,এই সমস্যার সমাধান হল ১.৮০৭৫
-
দেখে জটিল মনে হতে পারে কিন্তু আসলে যা করতে হবে তা হল
-
দশমিকের বিন্দুকে এক বরাবর রেখে যেখানে প্রয়োজন শূন্য বসানো
-
তুমি যদি সাধারণ যোগ করতে পার তাহলে এটাও করতে পারবে
-
আরেকটা সমস্যার সমাধান করা যাক
-
৫৮.৭৫+.০২৮
-
এমনভাবে লেখা সমস্যা দেখলে
-
তুমি হয়তো হুট করে যোগ শুরু করে দিতে পার
-
৫ এর সাথে ৮, ৭ এর সাথে ২, ৮ এর সাথে ০
-
আর এরপর ৫ কে নিচে বসানো বা এ ধরণের কিছু
-
এবং সেটা হবে ভুল!
-
আমার ধারণা,তোমরা বুঝতে পেরেছ কেন ভুল হবে
-
প্রথম ধাপের কথা মনে আছে?
-
তা ছিল দশমিক বিন্দুগুলোকে এক বরাবর রাখা
-
যখন দশমিকের যোগ করবে
-
এর প্রথম ধাপই হল দশমিক বিন্দুগুলোকে এক বরাবর রাখা
-
এখন,দশমিক বিন্দুগুলোকে এক বরাবরে আনা যাক
-
আমরা আবার প্রথম সংখ্যাটা লিখে ফেলি
-
৫৮.৭৫
-
এখন নিচের সংখ্যা লিখা যাক
-
যাতে করে দশমিক বিন্দুগুলো এক বরাবর থাকে
-
তাই এর ঠিক নিচেই দশমিক বিন্দু বসাই
-
আর .০২৮ পাওয়া গেল
-
এখন আমরা যোগ করতে পারি
-
এখন আগের মত আবার বলতে পারো
-
৮ এর সাথে তো যোগ করার কিছুই নেই
-
প্রথম সংখ্যার শেষে শূন্য বসায়
-
কারণ এতে সংখ্যাটির মানের কোন পরিবর্তন হয় না
-
এতে আমরা এক ধরণের শান্তিও পেলাম!
-
৮ এর সাথে যোগ করার জন্য কিছু পেলাম
-
তবে তাই হোক
-
০+৮=৮
-
৫+২=৭
-
৭+০=৭
-
৮ এর সাথে খালি জায়গা যোগ করলে ৮ পাওয়া গেল
-
এখন এতে আমরা একটা শূণ্য যোগ করতে পারতাম
-
একই কাজই হত
-
শূ্ল্য থাকলে
-
আর আমরা কাউকে ভুল পরিমাণ ওষুধ দিতাম না
-
৫ এর সাথে খালি জায়গা যোগ করলে ৫ হয়
-
এখন শুধু দশমিক বিন্দুটা বসালেই আমাদের কাজ শেষ
-
এটা এতই সোজা
-
দশমিক বিন্দুগুলোকে এক বরাবর রাখি,
-
খুশিমত শূণ্য বসাই
-
কারণ অনেক সময় খালি জায়গার চেয়ে শূন্য বসালে বেশি ভাল লাগে
-
এরপর যোগ করে ফেল
-
আর দশমিক বিন্দুটা বসাও
-
উত্তর হবে ৫৮.৭৭৮
-
শুদ্ধি পরীক্ষা করাটা ভাল
-
ভাবতে পার,আমার সমাধান ঠিক আছে কিনা
-
এখানে আছে ৫৮.৭৫,বলতে গেলে প্রায় ৫৮,৫৯ এর কাছাকাছি
-
৫৮ + ৩/৪
-
এর সাথে খুবই অল্প যোগ করি
-
.০২৮ যোগ করলাম
-
আমার উত্তরের তেমন কোন পরিবর্তন হবার কথা না
-
আমার ধারণা বিষয়টাকে এভাবেও দেখতে পার
-
তারপরও এটি ৫৮ এর মত হবার কথা
-
কারণ আমি খুবই অল্প যোগ করেছি
-
যদি এভাবে করতে যে
-
সাথে সাথেই যোগ শুরু করে দিতে
-
তাহলে উত্তর আসত ৫৯ এর চেয়ে কিছুটা বেশি
-
তখন মনে হবে, আমি তো .০২৮ যোগ করেছি, .২৮ না
-
আর তোমার সমাধান নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকে যেত
-
আশা করি বুঝাতে পেরেছি
-
সংখ্যাটি কত বড় এটা বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
-
আর বুঝতে পারা যে তুমি ঠিক কি পরিমাণ যোগ করছ
-
সবসময় যান্ত্রিকভাবে করে না যাওয়া
-
যাদিও মাঝে মাঝে একবারে করে যাওয়াটাই মজা
-
এখন শেষবারের মত আরেকটা সমস্যা সমাধান করা যাক
-
ভিডিওর কিছু সময় বাকি আছে
-
১০২.১+২.৫৬
-
এখন সংখ্যাগুলো কত বড় সেটা নিয়ে ভাবা যাক
-
১০২.১+২.৫৬
-
এটি ১০৪ দশমিক কিছু একটা
-
আমি আমার মাথায় এটা করব না
-
কাগজে করব
-
প্রথমে দশমিক বিন্দুগুলোকে এক সারিতে রাখি
-
১০২.১ যোগ---- দশমিক বিন্দু কে এক সারিতে রাখি---- ২.৫৬
-
এখন আমরা শেষে শূণ্য যোগ করতে পারি আর আমরা যোগ করতে প্রস্তুত
-
০+৬=৬
-
১+৫=৬
-
২+২=৪
-
০ এর সাথে কিছু যোগ না করলে হয় শূণ্য
-
১ এর সাথে কিছু যোগ না করলে হয় ১
-
দশমিক বিন্দুটা নিচে বসাও
-
১০৪.৬৬
-
এটা এতই সোজা!
-
আশা করি এটা সোজা লেগেছে
-
আমি এটাকে সোজা বলতে চাই যদি তোমার কাছে কঠিন লাগে
-
কারণ প্রথমবার করতে গেলে কঠিন লাগতে পারে
-
যাই হোক,
-
আমার ধারণা তুমি এখন দশমিক যোগের জন্য প্রস্তুত
-
মজা কর