জিল বোলটে টেলরের শক্তিশালী অর্ন্তদৃষ্টিপূর্ণ স্ট্রোক
-
0:00 - 0:03আমি মস্তিস্ক নিয়ে পড়াশোনা করার জন্যই বড় হয়েছিলাম
-
0:03 - 0:07কারণ আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল:
-
0:07 - 0:09সিজোফ্রেনিয়া। আর তার বোন হিসেবে
-
0:09 - 0:13ও পরে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে, আমি বুঝতে চেয়েছিলাম যে কেন
-
0:13 - 0:16আমি স্বপ্ন দেখতে পারি, আমার স্বপ্নগুলোকে মেলাতে পারি
-
0:16 - 0:19বাস্তবের সঙ্গে, এবং কিভাবে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে সতি্য করতে সমর্থ হই?
-
0:19 - 0:23আর আমার ভাইয়ের মস্তিস্ক আর
-
0:23 - 0:26তার সিজোফ্রেনিয়ায় কী আছে যে, সে তার স্বপ্নগুলো মেলাতে পারে না
-
0:26 - 0:30একটা সর্বজনগ্রাহ্য বাস্তবতার সঙ্গে,
-
0:30 - 0:32বরং সেগুলো ভ্রমে পরিণত হয়?
-
0:33 - 0:35তাই আমি আমার পেশাগত জীবনকে উৎসর্গ করেছি গবেষণায়
-
0:35 - 0:38গুরুতর মানসিক ব্যাধিগুলো নিয়ে। আর আমার দেশের বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমালাম
-
0:38 - 0:41ইন্ডিয়ানা থেকে বোস্টনে, ওখানে আমি কাজ করা শুরু করলাম
-
0:41 - 0:44হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রফেসর ড. ফ্রান্সাইন বেনেসের গবেষণাগারে
-
0:44 - 0:50মনোবিজ্ঞান বিভাগে। আর ঐ গবেষনাগারে আমরা প্রশ্ন তুলছিলাম যে,
-
0:50 - 0:55"বিভিন্ন ব্যক্তিদের মস্তিস্কের মধ্যে জৈব পার্থক্যটা কী
-
0:55 - 0:57যাদেরকে স্বাভাবিক মানুষ বলে বিবেচনা করা হয়
-
0:57 - 1:00তাদের তুলনায় সেইসব মানুষের মস্তিস্কের পার্থক্যটা কী যাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে
-
1:00 - 1:05সিজোফ্রেনিয়া, সিজোএফেক্টিভ বা বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগী হিসেবে?"
-
1:05 - 1:08তো উত্তরের খোঁজে আমরা মস্তিস্কের সুক্ষ-সার্কিটগুলো সনাক্ত করছিলাম।
-
1:08 - 1:11মস্তিষ্কের কোন কোষটা কোন কোষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে
-
1:11 - 1:14কোন কোন রাসায়নিক পদার্থ এখানে যুক্ত হচ্ছে
-
1:14 - 1:17কী পরিমাণে যুক্ত হচ্ছে?
-
1:17 - 1:21তো আমার জীবনটা অনেক অর্থবহ হয়ে উঠেছিল কারণ
-
1:21 - 1:24সারাদিন আমি এই ধরণের গবেষনার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম
-
1:24 - 1:27এরপর সন্ধ্যায় ও সপ্তাহিক ছুটিতে আমি কাজ করতাম
-
1:27 - 1:32ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব মেন্টাল ইলনেস (NAMI)-র প্রবক্তা হিসেবে।
-
1:32 - 1:35কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১০ ডিসেম্বর হঠাত করেই সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর
-
1:35 - 1:39আবিস্কার করলাম যে, আমার নিজেরই একটা মানসিক বিপর্যয় চলছে।
-
1:39 - 1:43আমার মস্তিস্কের বাম পার্শ্বে একটা রক্তনালী ছিঁড়ে যায়।
-
1:43 - 1:45আর এরপর চারটা ঘন্টা
-
1:45 - 1:50আমি দেখলাম আমার মস্তিস্ক পুরোপুরি টালমাটাল হয়ে গেছে
-
1:50 - 1:54কোন তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ব্যাপারে। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ঐ সকালে
-
1:54 - 2:00আমি হাঁটতে, কথা বলতে, পড়তে, লিখতে এমনকি আমার জীবনের কোন ঘটনা মনে করতেও পারছিলাম না।
-
2:00 - 2:04আমি যেন হয়ে গিয়েছিলাম একজন পূর্ণ বয়স্ক নারীর শরীরে একটা ছোট্ট শিশু।
-
2:05 - 2:08আপনারা যদি কখনো একটা মানুষের মস্তিস্ক দেখেন
-
2:08 - 2:11তাহলে দেখতে পাবেন যে, এখানে দুইটা অংশ একে অপরের থেকে পুরোপুরিই আলাদা।
-
2:11 - 2:17আর আমি আপনাদের জন্য একটা সত্যিকারের মস্তিস্ক নিয়ে এসেছি।
-
2:20 - 2:27তো, এটা হচ্ছে একটা সত্যিকারের মনুষ্য মস্তিস্ক।
-
2:28 - 2:30এইটা সামনের দিকের অংশ।
-
2:30 - 2:34আর এই পেছনের দিকে স্পাইনাল কর্ড ঝুলছে।
-
2:34 - 2:38এভাবেই এটা আমার মাথার মধ্যে বসানো থাকে।
-
2:38 - 2:40আর আপনি যদি এই মস্তিষ্কের দিকে তাকান, তাহলে স্পষ্টতই দেখতে পাবেন যে
-
2:40 - 2:45দুইটা সেরেব্রাল করটেক্স একে অপরের থেকে পুরোপুরিই আলাদা।
-
2:46 - 2:48আপনাদের মধ্যে যারা কম্পিউটারের কার্যপ্রণালী বোঝেন,
-
2:48 - 2:51আমাদের ডান অংশটা কাজ করে প্যারালাল প্রসেসরের মতো
-
2:51 - 2:55অন্যদিকে বাম অংশের তুলনা দেওয়া যায় সিরিয়াল প্রসেসরের সঙ্গে।
-
2:55 - 2:58এই দুইটা অংশ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে
-
2:58 - 3:00করপাস কোলোসামের মাধ্যমে।
-
3:00 - 3:04যেটা তৈরি হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন এক্সোনাল ফাইবার দিয়ে।
-
3:04 - 3:06কিন্তু এছাড়া
-
3:06 - 3:10মস্তিস্কের এই দুইটা অংশ একে অপরের থেকে পুরোপুরিই ভিন্ন ধরণের।
-
3:10 - 3:13কারণ তারা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে ভিন্নভাবে
-
3:13 - 3:16দুইটা অংশের চিন্তাধারাও পুরোপুরি ভিন্ন ধরণের
-
3:16 - 3:20তাদের কাজ করার জায়গাও ভিন্ন ধরনের। আর সাহস নিয়ে বললে
-
3:20 - 3:24তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও আলাদা রকমের।
-
3:25 - 3:32অনুগ্রহ করে, ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগল।
-
3:33 - 3:37আমাদের মস্তিস্কের ডানদিকের অংশটার কাজকারবার সবকিছুই বর্তমান সময়টাকে নিয়ে।
-
3:37 - 3:42এর সবকিছুই "এখন এবং এই মুহূর্ত" নিয়ে।
-
3:42 - 3:45ডানদিকটা চিন্তা করে ছবির মাধ্যমে।
-
3:45 - 3:49সবকিছু শেখে কাইনেসথেটিক্যালি, আমাদের দেহের নড়াচড়া অনুযায়ী।
-
3:49 - 3:54এখানে ক্রমাগতভাবে তথ্য, শক্তিতরঙ্গ আকারে
-
3:54 - 3:56সমগ্র স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
-
3:56 - 3:59আর তারপর এটা সুবিশাল একটা কোলাজ নিয়ে বিস্ফোরিত হচ্ছে
-
3:59 - 4:03এই বর্তমান মুহূর্তটা দেখতে কেমন,
-
4:03 - 4:06বর্তমান মুহূর্তটার গন্ধ কেমন? স্বাদ কেমন,
-
4:06 - 4:10এটার অনুভূতি কেমন, এটা শুনতে কেমন।
-
4:11 - 4:16আমি একটা শক্তিসত্তা রুপে সংযুক্ত আছি আমার চারপাশের সব শক্তিসমূহের সাথে,
-
4:16 - 4:19আমার এই ডান মস্তিস্কের সচেতনতা দিয়ে।
-
4:19 - 4:23আমরা একেকটা শক্তিসত্তা হিসেবে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত আছি
-
4:23 - 4:29একটা মনুষ্য পরিবার হিসেবে, এই ডান মস্তিস্কের সচেতনতা দিয়ে।
-
4:29 - 4:31আর এখন,
-
4:31 - 4:33এই মুহূর্তে এই দুনিয়ার আমরা সবাই ভাই ও বোন।
-
4:33 - 4:37এখানে এসেছি দুনিয়াটাকে আরও সুন্দর একটা জায়গা বানাতে।
-
4:37 - 4:43আর এই মুহূর্তে আমরা পরিপূর্ণ, আমরা একক, আর আমরা সুন্দর।
-
4:44 - 4:49আমার বামদিকের অংশটা, আমাদের বামদিকের অংশটা পুরোপুরিই আলাদা জায়গা
-
4:49 - 4:53এটা চিন্তা করে রৈখিক ও পদ্ধতিগতভাবে
-
4:53 - 4:55এর কাজকারবার
-
4:55 - 4:59অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে।
-
4:59 - 5:02এটা তৈরি হয়েছে এমনভাবে যেন তা
-
5:02 - 5:05বর্তমানের বিশাল কোলাজটার ভার নিতে পারে
-
5:05 - 5:09সে প্রতিটা তথ্যের বিস্তারিত তথ্য, তার সম্প্রসারণ, এবং সেগুলোর আরও বিস্তারিত ব্যখ্যা হাজির করে।
-
5:09 - 5:11তারপর এটা সেই তথ্যগুলোকে শ্রেনীবদ্ধ ও সুবিন্যস্ত করে।
-
5:11 - 5:15অতীতে আমরা যা শিখেছি, তার সঙ্গে এগুলোকে মেলায়
-
5:15 - 5:18ও তার উপর ভিত্তি করে ভবিস্যতে আমাদের কী কী সুযোগ তৈরি হয়
-
5:18 - 5:21সেগুলোর হিসাব করে।
-
5:22 - 5:26আমাদের বাম মস্তিস্কটা চিন্তা করে ভাষার মাধ্যমে।
-
5:26 - 5:29মস্তিস্কের এই অংশটাই সংযোগ তৈরি করে দেয়
-
5:29 - 5:33আমার অন্তর্জগত ও বর্হিজগতের
-
5:33 - 5:37এইটাই সেই আওয়াজ, যা আমাকে বলে, "শোন মনে রাখো
-
5:37 - 5:40তোমাকে বাড়ি ফেরার পথে কলা কিনে নিয়ে যেতে হবে।
-
5:40 - 5:41আর সকালে সেটা খেতে হবে।
-
5:41 - 5:44এই হিসাবমাফিক বুদ্ধিমত্তাটাই আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে,
-
5:44 - 5:47কখন আমাকে কাপড় কাচতে হবে। কিন্তু সম্ভবত তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে,
-
5:47 - 5:51এই ছোট্ট কণ্ঠটাই আমাকে বলে যে,
-
5:51 - 5:57”আমি আছি” ”আমি আছি”। আর যতক্ষণ আমার বাম মস্তিস্ক আমাকে বলে যে, ”আমি আছি”,
-
5:57 - 6:00আমি আলাদা হয়ে যাই।
-
6:00 - 6:04আমি হয়ে যাই একটা একক দৃঢ় ব্যক্তিসত্তা। আমার চারপাশের শক্তি প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন।
-
6:04 - 6:07বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই আপনাদের থেকেও।
-
6:07 - 6:10আমি আমার মস্তিস্কের এই অংশটাই হারিয়ে ফেলেছিলাম।
-
6:10 - 6:12আমার স্ট্রোকের সেই সকালে
-
6:12 - 6:16সেদিন সকালে আমি ঘুম থেকে উঠেছিলাম
-
6:16 - 6:21আমার বাম চোখের পেছনে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে।
-
6:21 - 6:23পুড়ে যাওয়ার মত ব্যাথাটা সেইরকম যেমনটা আমাদের হয়
-
6:23 - 6:27ঠান্ডা আইসক্রিমে কামড় দিলে। ব্যথাটা আমাকে জাপটে ধরছে,--
-
6:27 - 6:30আবার ছেড়ে দিচ্ছে। তারপর আবার জাপটে ধরছে,
-
6:31 - 6:34আবার ছেড়ে দিচ্ছে। আর এই ধরণের ব্যাথার অভিজ্ঞতা
-
6:34 - 6:37আমার জন্য ছিল খুবই অস্বাভাবিক।
-
6:37 - 6:39তো, আমি ভাবলাম, ঠিক আছে। আমি স্বাভাবিকভাবে আমার রোজকার রুটিন শুরু করি।
-
6:39 - 6:42কাজেই আমি উঠলাম আর আমার কার্ডিও গ্লিডারে চড়ে বসলাম।
-
6:42 - 6:45এটা পুরো শরীরের ব্যায়ামের একটা যন্ত্র।
-
6:45 - 6:49আর আমি সেটাতে ব্যায়াম শুরু করার পর, উপলব্ধি করলাম,
-
6:50 - 6:54মেশিনের বারগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকা নিজের হাতগুলোকে আমার মনে হতে থাকল আদিম নখরযুক্ত পশুর হাতের মতো
-
6:54 - 6:57আমি ভাবলাম, “এটা খুবই অদ্ভুত।”
-
6:57 - 7:00নিচের দিকে পুরো শরীরের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম, ‘ওয়াও!
-
7:00 - 7:03আমি একটা কিম্ভুত সদৃশ জিনিস।’
-
7:03 - 7:06আমার চেতনা দুরে সরে যাচ্ছে আমার সাধারণ--
-
7:06 - 7:09বাস্তবতার উপলব্ধি থেকে, যেখানে আমি সেই ব্যক্তি
-
7:09 - 7:12মেশিনের উপরে দাঁড়ানো এইসব অভিজ্ঞতার সম্মুখিন, রহস্যময় একটা যায়গায়
-
7:12 - 7:16যেখানে আমি নিজেই এইসব অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করছি
-
7:17 - 7:19আর সবকিছু মিলিয়ে ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত, সেই সাথে আমার মাথাব্যাথা
-
7:19 - 7:21আরও চরম আকারে বাড়তে থাকল। তো, আমি মেশিন থেকে নেমে এলাম।
-
7:21 - 7:24বসার ঘরের মেঝেতে হাঁটাহাটি করতে লাগলাম। আর তখন আমি
-
7:24 - 7:26উপলব্ধি করলাম যে, আমার দেহের ভিতরের সবকিছুই
-
7:26 - 7:31খুব ধীরগতির হয়ে গেছে। আমার প্রত্যেকটা ধাপই পড়ছে খুব ধীরগতিতে
-
7:31 - 7:34এবং সুচিন্তিতভাবে। আমার গতির কোন প্রবাহ নেই,
-
7:34 - 7:37আর আমার উপলব্ধির ক্ষমতার জায়গাটা এতই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছিল,
-
7:37 - 7:41তো, আমি আমার অভ্যন্তরীন ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করলাম
-
7:41 - 7:43বাথরুমে এসে গোসলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় আমি বাস্তবিকই
-
7:43 - 7:45আমার শরীরের ভিতরের কথাবার্তা শুনতে পেলাম
-
7:45 - 7:48আমি শুনলাম, একটা ছোট্ট স্বর বলছে,
-
7:48 - 7:51“ঠিক আছে। তুমি পেশি, তোমাকে শুরু করতে হবে।
-
7:51 - 7:52তুমি পেশি, তুমি আরাম কর।”
-
7:52 - 7:55আর তারপর আমি আমার নিয়ন্ত্রণ হারালাম আর দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম।
-
7:55 - 7:59আর আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম যে,
-
7:59 - 8:03আমি আর কোনভাবেই আমার দেহের সীমানা নির্ধারণ করতে পারছি না।
-
8:03 - 8:07মনে করতে পারছি না যে, আমার শুরু কোথায় আর শেষ কোথায়,
-
8:07 - 8:10কারণ মনে হচ্ছিল আমার হাতের অনু পরমানুগুলো
-
8:10 - 8:14মিশে গেছে দেয়ালের অনু পরমানুগুলোর সঙ্গে।
-
8:14 - 8:18আর একটা জিনিসই আমি সনাক্ত করতে পারছিলাম তা হলো একটা শক্তি -- শক্তি
-
8:18 - 8:20আমি নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, “আমার সমস্যা টা কী?
-
8:20 - 8:23কী হচ্ছে এসব?” আর এই মুহূর্তে আমার মস্তিস্কের কাথাবার্তা --
-
8:24 - 8:27আমার বাম অংশের কথাবার্তাগুলো -- পুরোপুরি নিশ্চুপ হয়ে গেল।
-
8:27 - 8:30যেন কেউ রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে
-
8:30 - 8:33মিউট বাটন চেপে দিয়েছে। পুরোপুরি শব্দহীন।
-
8:33 - 8:36আর প্রথমে আমি প্রথমবারের মতো নিজেকে
-
8:36 - 8:40একটা নিশ্চুপ মস্তিস্কের মধ্যে পেয়ে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর খুব দ্রুতই
-
8:40 - 8:44আমার চারপাশের শক্তির চমৎকারীত্বে মজেছিলাম।
-
8:44 - 8:48আর আমি যেহেতু আমার দেহের সীমানা নির্ধারণ
-
8:48 - 8:51করতে পারছিলাম না, তাই আমার নিজেকে বিশাল ও সুবিস্তৃত মনে হচ্ছিল।
-
8:51 - 8:55চারপাশের সব শক্তির সাথে নিজেকে একাত্ম মনে হচ্ছিল।
-
8:55 - 8:58আর সেটা ছিল খুবই সুন্দর অনুভূতি।
-
8:58 - 9:00তারপর হঠাৎই আমার বাম মস্তিস্ক জীবিত হয়ে
-
9:00 - 9:03অনলাইনে আসল আর আমাকে বলল, “হেই! আমাদের সমস্যা হয়েছে।
-
9:03 - 9:05আমাদের সমস্যা হয়েছে। আমাদের সাহায্য নিতে হবে।”
-
9:05 - 9:07আর আমি শুরু হয়ে গেলাম, “আহ্হ্! আমার সমস্যা হয়েছে।
-
9:07 - 9:10আমার সমস্যা হয়েছে।” তো এটা এরকম, “আচ্ছা আচ্ছা। আমার সমস্যা হয়েছে।”
-
9:10 - 9:13কিন্তু তারপরেই আমি আবার ডান মস্তিস্কের সচেতনতায় ফিরে গেলাম।
-
9:13 - 9:16আমি এই জগতটাকে আদর করে
-
9:16 - 9:19তাইরে নাইরে দুনিয়া বলতে পছন্দ করি।
-
9:20 - 9:22কিন্তু এটা ছিল খুবই সুন্দর। চিন্তা করেন,
-
9:22 - 9:25বাহ্যিক দুনিয়ার সাথে মস্তিস্কের যে কথোপকথনকারীটা আপনাকে সংযুক্ত রাখে,
-
9:25 - 9:28সেটা আপনার থেকে পুরোপুরিই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কেমন লাগতে পারে।
-
9:28 - 9:31তো, এই জায়গায় থাকা আমার কাছে, আমার চাকরি
-
9:31 - 9:34চাকরি সংক্রান্ত যে কোন চাপ-দুশ্চিন্তা, সব হাওয়া হয়ে গেছে।
-
9:34 - 9:37আর আমার শরীরের মধ্যে নিজেকে খুব হালকা লাগছে। আর ভাবেন যে,
-
9:37 - 9:41বাহ্যিক দুনিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক, সেগুলোর মধ্যকার চাপ
-
9:41 - 9:44দুশ্চিন্তার কথাগুলোও সব গায়েব হয়ে গেছে।
-
9:44 - 9:49আর আমি এই শান্তিপূর্ণ অবস্থাটা অনুভব করছি।
-
9:49 - 9:54একবার ভাবুন যে, ৩৭টা বছরের সব আবেগপূর্ণ লটবহর ঝেড়ে ফেলতে পারলে কেমন লাগত!
-
9:54 - 9:59(হাসি)। আমি খুবই ফুর্তিতে ছিলাম --
-
10:00 - 10:03স্ফুর্তি। এটা খুবই সুন্দর একটা অনুভূতি ছিল
-
10:03 - 10:05আর তারপর আবার আমার বাম মস্তিস্ক অনলাইনে চলে আসল আর বলল,
-
10:05 - 10:07"হেই! তোমাকে মনোযোগ দিতে হবে।
-
10:07 - 10:09আমাদের সাহায্য নিতে হবে।” আর আমি ভাবছি, “আমাকে সাহায্য নিতে হবে।
-
10:09 - 10:11মনোযোগ দিতে হবে।”
-
10:11 - 10:13তো, আমি বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। আর
-
10:13 - 10:15খুবই যান্ত্রিকভাবে পোশাক পরে হাঁটতে লাগলাম।
-
10:15 - 10:17ভাবছিলাম, ‘আমাকে কাজে যেতে হবে। কাজে যেতে হবে।
-
10:17 - 10:20আমি কি গাড়ি চালাতে পারব? গাড়ি চালাতে পারব?
-
10:20 - 10:22আর এইসময় আমার ডানহাত
-
10:22 - 10:25পুরোপুরি প্যারালাইজড হয়ে গেল। তারপর আমি বুঝতে পারলাম,
-
10:25 - 10:28“ওহ! ঈশ্বর! আমার চৈতন্য লোপ (স্ট্রোক) হচ্ছে। আমার স্টোক হচ্ছে!”
-
10:28 - 10:31আর তার পরের ঘটনা হলো, আমার মস্তিস্ক বলছে, “বাহ!
-
10:31 - 10:37এটা কী চমৎকার! (হাসি) এটা কী মজার!
-
10:37 - 10:39কতজন মস্তিস্ক বিজ্ঞানী নিজেই নিজের মস্তিস্কটা এভাবে
-
10:39 - 10:42ভেতর থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পায়?”
-
10:42 - 10:44(হাসি)
-
10:44 - 10:48তারপরেই আমার মাথায় আসল যে, “কিন্তু আমি খুবই ব্যস্ত একটা মহিলা!
-
10:48 - 10:51(হাসি) আমার কোন স্ট্রোকের সময় নাই!”
-
10:51 - 10:53তো, তারপরে ভাবলাম, “ঠিক আছে, আমি এই স্ট্রোক হওয়া আটকাতে পারব না।
-
10:53 - 10:56তো, এটা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে সামলিয়ে তারপর
-
10:56 - 10:58আমি আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসব। ঠিক আছে,
-
10:58 - 11:00তাহলে আমাকে সাহায্য নিতে হবে। আমার অফিসে ফোন করতে হবে।”
-
11:00 - 11:02কিন্তু সেখানকার নাম্বারটা আমার মনে পড়ল না।
-
11:02 - 11:04তখন মনে হলো আমার অফিসে কিছু ভিজিটিং কার্ড আছে
-
11:04 - 11:07সেখানে আমার নম্বরটা লেখা আছে। তারপর আমি আমার কাজের ঘরে গেলাম,
-
11:07 - 11:10আর তিন ইঞ্চি মোটা কার্ডের বান্ডিলটা বের করলাম।
-
11:10 - 11:13আর আমি কার্ডের উপরের দিকে দেখলেও
-
11:13 - 11:17আমার বিজনেস কার্ডটা দেখতে কেমন, সেটা আমি মনের চোখে পরিস্কার দেখতে পেলেও
-
11:17 - 11:19আমি কিছুতেই বলতে পারছিলাম না যে,
-
11:19 - 11:22এটা আমার কার্ড কি না, কারণ আমি যা দেখতে পাচ্ছিলাম তার সবই শুধু পিক্সেল
-
11:22 - 11:24আর বর্ণগুলোর পিক্সেল মিশে যাচ্ছিল
-
11:24 - 11:27প্রতীকগুলোর পিক্সেল ব্যাকগ্রাউন্ডের পিক্সেলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল,
-
11:27 - 11:29আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না
-
11:29 - 11:32তারপর আমাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমি যাকে বলি একটা 'স্পষ্টতার ঢেউ' এর জন্য
-
11:32 - 11:35আর তখন হয়তো আমি আবার স্বাভাবিক বাস্তবতায়
-
11:35 - 11:38পুনরায় সংযুুক্ত হতে পারছি। আর বলতে পারছি যে,
-
11:38 - 11:40এই কার্ডটা নয়। এই কার্ডটা নয়। এই কার্ডটা নয়।
-
11:40 - 11:44এভাবে তিন ইঞ্চি পুরু বান্ডিলটার এক ইঞ্চি পর্যন্ত যেতে
-
11:44 - 11:46আমার সময় লাগল ৪৫ মিনিট।
-
11:47 - 11:49আর এই ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমার বাম মস্তিস্কের
-
11:49 - 11:51রক্তক্ষরিত অংশটা আরও বড় হয়েছে।
-
11:51 - 11:54আমি নাম্বার বুঝতে পারছি না। টেলিফোন বুঝতে পারছি না।
-
11:54 - 11:56কিন্তু আমার এই একটা পরিকল্পনাই আছে।
-
11:56 - 11:59কাজেই আমি ফোন প্যাডটা নিলাম আর এখানে রাখলাম, বিজনেস কার্ডটা নিলাম,
-
11:59 - 12:01আমি এইখানে রাখলাম, আর
-
12:01 - 12:05এখন আমি কার্ডের হিজিবিজি আকৃতিগুলোর সঙ্গে মেলাতে থাকলাম
-
12:05 - 12:08ফোনপ্যাডের হিজিবিজি আকৃতিগুলোকে।
-
12:08 - 12:11কিন্তু তারপর আবার হয়তো আমি চলে গেলাম সেই তাইরে নাইরে দুনিয়ায়,
-
12:11 - 12:14পরে আবার সচেতন হয়ে আর মনে করতে পারলাম না যে আমি ইতিমধে্যই
-
12:14 - 12:15কোন নাম্বারের বোতাম চেপেছি।
-
12:15 - 12:19তাই (কোন পর্যন্ত চেপেছি এটা মনে রাখার জন্য) আমি প্যারালাইজড ডানহাতটাকে ফোনপ্যাডের ওপর রেখে
-
12:19 - 12:22একটা স্ট্যাম্পের মতো ব্যবহার করতে হলো
-
12:22 - 12:25যেন, আমি স্বাভাবিক বাস্তবতায় ফিরে আসার পরে বলতে পারি
-
12:25 - 12:30যে, “হ্যাঁ, আমি এই নাম্বারটা ইতিমধ্যেই ডায়াল করেছি।”
-
12:30 - 12:32এভাবে, পুরো নাম্বারটা ডায়াল করা যখন শেষ হলো
-
12:32 - 12:34আমি ফোন ধরে শুনছি। আর
-
12:34 - 12:37আমার সহকর্মী ফোনটা ধরল আর বলল,
-
12:38 - 12:43“হুউ্ হুউ্ হুউ্ হুউ্” (হাসি)। আর আমি নিজে নিজে ভাবলাম,
-
12:43 - 12:49“ওহ! ঈশ্বর! তাকে একটা সোনালী শিকারী কুকুরের মতো শোনাচ্ছে!”
-
12:50 - 12:52আর তারপর আমি তাকে বললাম আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমি বললাম,
-
12:52 - 12:54“আমি জিল! আমার সাহায্য দরকার!”
-
12:55 - 12:58আর কথাটা আমার কানে শোনালো, “হুউ্ হুউ্ হুউ্ হুউ্”
-
12:58 - 13:00আমি ভাবলাম, “ওহ! ঈশ্বর! আমাকে একটা সোনালী শিকারী কুকুরের মতো শোনাচ্ছে!”
-
13:00 - 13:03চেষ্টা না করার আগ পর্যন্ত আমি বুঝতেই পারিনি, জানতামই না যে
-
13:03 - 13:06আমি ভাষা বলতে বা বুঝতে পারব না।
-
13:06 - 13:09কিন্তু সে বুঝেছিল যে, আমার সাহায্য লাগবে। আর সে তা করেওছিল।
-
13:09 - 13:13তার কিছুক্ষণ পরে,
-
13:13 - 13:17আমি বস্টনের এক হাসপাতাল থেকে ম্যাসাচুসেটস-এর আরেকটা হাসপাতালে যাচ্ছিলাম অ্যাম্বুলেন্সে করে।
-
13:17 - 13:19আর আমি যেন একটা ছোট ভ্রুণের বলের মতো কুঁকড়ে গেলাম।
-
13:19 - 13:26যেন শেষ কিছু বাতাস নিয়ে উড়তে থাকা একটা বেলুন।
-
13:26 - 13:29আর ঐ সেই বেলুনের মতো, আমার মনে হলো,
-
13:29 - 13:33আমার শক্তি আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে। মনে হলো, আমার আত্মা আত্মসমর্পণ করল
-
13:33 - 13:39আর সেই মুহূর্তে, আমি জেনেছিলাম যে, আমি আর
-
13:39 - 13:42আমার জীবনের নির্দেশক নই।
-
13:42 - 13:45আর যদি চিকিৎসকেরা আমার দেহটা রক্ষা না করে
-
13:45 - 13:48ও আমাকে জীবনের দ্বিতীয় সুযোগ না দেয় তাহলে
-
13:48 - 13:50এটাই হয়তো আমার পারাপারের মুহূর্ত।
-
13:55 - 13:59সেই দিন দুপুরে যখন সজাগ হলাম, তখন এটা আবিস্কার করে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম যে,
-
13:59 - 14:04আমি এখনও বেঁচে আছি। যখন মনে হয়েছিল আমার আত্মা আত্মসমর্পন করছে
-
14:04 - 14:07তখনই আমি জীবনকে চিরবিদায় বলে দিয়েছিলাম।
-
14:07 - 14:11ি
-
14:11 - 14:15ভিন্ন বাস্তবতার জগত নিয়ে ফিরে এসেছে। স্নায়ুতন্ত্র বাহিত
-
14:15 - 14:18যেসব তরঙ্গ মস্তিস্কে আসছিল, সেগুলো মনে হচ্ছিল বিশুদ্ধ যন্ত্রণা।
-
14:19 - 14:23আলো আমার মস্তিস্ক যেন পুড়িয়ে দিচ্ছিল দাবানলের মতো। আর শব্দগুলোও
-
14:23 - 14:27এত জোরে আর বিশৃঙ্খল মনে হচ্ছিল যে, আমি ঐ চেঁচামেচি থেকে
-
14:27 - 14:31একটা স্বরও আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারছিলাম না।
-
14:31 - 14:35আমি শুধু চাইছিলাম পালিয়ে যেতে। কারণ আমি অন্য আরেকটা জগতে
-
14:35 - 14:40আমার দেহের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারিনি, নিজেকে মনে হয়েছিল বিশাল ও বিস্তির্ণ
-
14:40 - 14:44যেন একটা জ্বীন এই মাত্র প্রদীপ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
-
14:45 - 14:50আর আমার আত্মা উড়ে বেড়াচ্ছিল মুক্তভাবে। যেন একটা বিশাল তিমি
-
14:50 - 14:55সাঁতড়ে বেড়াচ্ছে শব্দহীন আনন্দময় সমুদ্রে।
-
14:56 - 15:04নির্বান আমি নির্বান লাভ করেছিলাম। আমি সেই চিন্তাটাও মনে করতে পারলাম
-
15:04 - 15:07যখন আমি ভেবেছিলাম আর কোনভাবেই এই সুবিশাল নিজেকে
-
15:07 - 15:12আমার এই ছোট্ট দেহটার মধ্যে ফেরাতে পারব না।
-
15:14 - 15:18কিন্তু তারপরই আমি উপলব্ধি করলাম, “কিন্তু আমি এখনও বেঁচে আছি। এখনও বেঁচে আছি।
-
15:18 - 15:22আর আমি নির্বান প্রাপ্ত হয়েছি। আর যদি আমি নির্বান লাভ করে
-
15:22 - 15:25এখনও বেঁচে থাকতে পারি, তাহলে জীবন্ত অন্য সবাই-ই
-
15:25 - 15:32নির্বান লাভ করতে পারে। আর আমি এমন একটা দুনিয়ার ছবি কল্পনা করলাম
-
15:32 - 15:36যেটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, করুনাময়, সৌহার্দপূর্ণ
-
15:36 - 15:39মানুষে পরিপূর্ণ, যারা সবাই জানে যে,
-
15:39 - 15:43তারা যে কোন সময়ে এই জগতটাতে আসতে পারে
-
15:43 - 15:47তারা ইচ্ছানুযায়ী মস্তিস্কের ডান অংশে আসতে
-
15:47 - 15:52ও এই শান্তি লাভ করতে পারে। আর তখন
-
15:52 - 15:56আমার উপলব্ধি হলো যে, এই অভিজ্ঞতাটা কী অসাধারণ একটা উপহার হতে পারে
-
15:56 - 16:00এই স্ট্রোকের অন্তদৃষ্টিটা কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে
-
16:01 - 16:10আমরা কীভাবে আমাদের জীবন ধারণ করব তা বুঝতে। এটাই আমাকে সুস্থ হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে।
-
16:10 - 16:13আমার মস্তিস্কের রক্তক্ষরণের আড়াই সপ্তাহ পরে,
-
16:13 - 16:15চিকিৎসকেরা অপারেশন করে একটা গল্ফ বলের আকৃতির রক্তপিণ্ড
-
16:15 - 16:18বের করে যেটা আমার মস্তিস্কের ভাষা কেন্দ্রের দিকে চাপ দিচ্ছিল।
-
16:18 - 16:20এখানে, আমি আমার মা এর সঙ্গে,
-
16:20 - 16:28তিনি আমার জীবনের একজন সত্যিকারের দেবী। পুরোপুরি সুস্থ হতে আমার আট বছর লেগেছিল
-
16:29 - 16:34তো, আমরা কে? আমরা হলাম এই বিশ্বব্রক্ষাণ্ডের জীবনী-শক্তি ক্ষমতা,
-
16:34 - 16:39দুইটা কার্জক্ষম হাত ও দুইটা সৃজনশীল মস্তিস্ক সমৃদ্ধ।
-
16:39 - 16:43আর আমাদের সেই ক্ষমতা আছে, প্রতিমুহূর্তে বেছে নেওয়ার যে,
-
16:43 - 16:47কিরুপে বা কিভাবে আমরা দুনিয়ায় বাঁচতে চাই।
-
16:48 - 16:50এখনই এইমূহূর্তে আমি সচেতনভাবে আমার
-
16:50 - 16:54ডানমস্তিস্কের জগতে পা রাখতে পারি। যেখানে আমরা আছি।
-
16:54 - 16:58আমি এই বিশ্বব্রক্ষাণ্ডের জীবনী-শক্তি ক্ষমতা।
-
16:58 - 17:01আমি এই ৫০ ট্রিলিয়ন চমৎকার অনুগুলোর জীবনী-শক্তি ক্ষমতা
-
17:01 - 17:06যা দিয়ে আমি গড়ে উঠেছি। এই পুরোটার সাথে আমি একাত্ম।
-
17:07 - 17:10বা আমি আমার বাম মস্তিস্কের সচেতনতায় প্রবেশ করতে পারি
-
17:10 - 17:14যেখানে আমি একটা একক ব্যাক্তিসত্তায় পরিণত হই,
-
17:14 - 17:17একটা নিরেট বস্তু। চারপাশের প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন,
-
17:18 - 17:21আপনাদের থেকে বিচ্ছিন্ন, আমি ড. জিল বোলটে টেলর:
-
17:21 - 17:28বুদ্ধিজীবী, স্নায়ুঅনুতাত্ত্বিক। আমার মাথার ভেতরে এই রকমের ‘আমরা’-রা আছি।
-
17:32 - 17:39আপনি কোনটা বেছে নেবেন? কোনটা বেছে নেবেন আপনি? আর কখন?
-
17:41 - 17:45আমি বিশ্বাস করি যত বেশি সময় আমরা
-
17:45 - 17:48ডান মস্তিস্কের গভীর আত্ম শান্তি লাভ প্রক্রিয়া চালাতে পারব
-
17:48 - 17:51তত শান্তিপূর্ণ জীবন আমরা দুনিয়াকে দিতে পারব।
-
17:51 - 17:55আর ততই বেশি শান্তিময় হবে আমাদের পৃথিবীটা।
-
17:55 - 18:00আর আমি ভাবছিলাম, এইটা একটা ধারণাটা প্রচারের দাবি রাখে।
- Title:
- জিল বোলটে টেলরের শক্তিশালী অর্ন্তদৃষ্টিপূর্ণ স্ট্রোক
- Speaker:
- Jill Bolte Taylor
- Description:
-
জিল বোলটে টেলর এমন একটা গবেষণার সুযোগ পেয়েছিলেন যা মস্তিস্ক বিজ্ঞানীদের কাছে স্বপ্নের মত। তাঁর একটা বড়ধরণের স্ট্রোক হয়েছিল, আর তিনি দেখছিলেন কিভাবে তার নিজের মস্তিস্কটা কাজ করছে। তাঁর চলাফেরা, কথা বলা. আত্ম সচেতনতা সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল একের পর এক। সে এক অসাধারণ কাহিনী।
- Video Language:
- English
- Team:
closed TED
- Project:
- TEDTalks
- Duration:
- 18:21