< Return to Video

হিটলারের বিরুদ্ধে করা ছাত্রদের গোপন প্রতিবাদ - ইসাল্ট গিলেসপি

  • 0:02 - 0:05
    (সুর)
  • 0:07 - 0:11
    ১৯৪৩-এ নাৎসি জোটের একটি বিমান উড়ে যায়
    নাৎসি জার্মানির উপর দিয়ে,
  • 0:11 - 0:14
    ফেলে যায় ১০ হাজারের মত ছাপানো
    কাগজ নীচের মানুষের উপর।
  • 0:14 - 0:19
    অজ্ঞাতনামা জার্মানদের লেখা সেই কাগজগুলোয়
    ছিলো হিটলারকে পরিত্যাগের আবেদন,
  • 0:19 - 0:23
    ভবিষ্যতের জন্য চরম লড়াই --
    এবং কখনো আশা না ছাড়ার আকুতি।
  • 0:23 - 0:26
    তাদের এই আকুতি ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে,
    ব্যবসাবানিজ্যে --
  • 0:26 - 0:30
    এমনকি এই খবরটা পৌঁছে গেল
    বন্দী-শিবির এবং জেলখানাগুলোতেও।
  • 0:30 - 0:34
    যুদ্ধ শেষ হবার পরই কেবলমাত্র এই অজ্ঞাতনামা
    লেখকদের পরিচয়, গল্প,
  • 0:34 - 0:38
    এবং নির্মম পরিণতি আলোয় উঠে আসে।
  • 0:38 - 0:41
    এই ঘটনার ১০ বছর আগে
    যখন হিটলার ক্ষমতা দখল করে নেয়,
  • 0:41 - 0:45
    হান্স এবং সোফি শল তখন
    ফর্ক্টেনবাগ শহরে কিশোর-কিশোরী।
  • 0:45 - 0:48
    সে সময়ের ভয়, প্রচারণা, আর নজরদারি
  • 0:48 - 0:52
    শল পরিবার এবং তাদের মত
    লাখো জার্মানদের সমগ্র জীবন
  • 0:52 - 0:53
    নাৎসিদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
  • 0:53 - 0:56
    তখনকার সরকার বিশেষভাবে তরুণদের
    দিকে নজর দেন,
  • 0:56 - 1:01
    নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে তাদের আচরণ
    এবং চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
  • 1:01 - 1:04
    কিশোর হিসেবে,
    হান্স হিটলার ইয়ুথের সদস্য ছিলেন
  • 1:04 - 1:07
    আর সোফি যোগ দেন
    "দা লীগ অফ জার্মান গার্লস"-এ।
  • 1:07 - 1:09
    হান্স দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন
  • 1:09 - 1:12
    এবং অন্য ছেলেদের প্রশিক্ষণ ও দীক্ষা দেয়া
    তদারকির দায়িত্ব পান।
  • 1:12 - 1:17
    ১৯৩৬-এ তাকে একটি জাতীয় সমাবেশে
    পতাকা বহনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
  • 1:17 - 1:20
    কিন্তু যখন তিনি নাৎসিদের
    আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন,
  • 1:20 - 1:23
    তিনি প্রশ্ন করতে শুরু করেন।
  • 1:23 - 1:27
    একইসময়ে, সোফিও তার চারপাশে দেখা তথ্য
    নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
  • 1:27 - 1:29
    তাদের মা-বাবা রবার্ট এবং ম্যাগডালিনা,
  • 1:29 - 1:32
    যারা ভয় পাচ্ছিলেন নাৎসি মতবাদের
    কাছে সন্তান হারানোর,
  • 1:32 - 1:35
    তারা উৎসাহ দেন তাদের এই সন্দেহকে।
  • 1:35 - 1:38
    বাড়িতে, রবার্ট এবং ম্যাগডালিনা
    ভিনদেশি রেডিও স্টেশন শুনত,
  • 1:38 - 1:42
    যেগুলো সরকার শুনতে নিরুৎসাহিত করছিলো প্রথমে
    এবং পরে নিষিদ্ধ করে দেয়।
  • 1:42 - 1:47
    যখন জাতীয় সম্প্রচারে সরকার অবলীলায়
    নাৎসি বাহিনীর নৃশংসতাকে বাদ দিয়ে যাচ্ছিলো,
  • 1:47 - 1:50
    শল পরিবার তখন নির্মম সত্য জানতে পারে।
  • 1:50 - 1:54
    এতকিছুর পর তবুও তাদের হিটলারের জার্মানির
    নিয়মের নীচেই জীবনযাপন করতে হয়।
  • 1:54 - 1:55
    যুদ্ধ শুরুর পর,
  • 1:55 - 1:58
    সোফি অনিচ্ছা সত্বেও জাতীয় স্বার্থে
    কাজ শুরু করেন,
  • 1:58 - 2:03
    এবং হান্সকে সেনা হবার দায়িত্ব নিতে হয়
    মিউনিখে মেডিকেল স্কুলে যাওয়ার সাথে সাথে।
  • 2:03 - 2:09
    যেখানে হান্সের দেখা হয় ক্রিস্টোফ প্রোব্স্ট,
    উইলি গ্রাফ ও আলেক্সান্ডার স্মোরেলের সাথে।
  • 2:09 - 2:12
    দিনের পর দিন, তাদের নাৎসি মতবাদের
    প্রতি ঘৃনা বাড়তে থাকে।
  • 2:12 - 2:14
    তারা চাইছিলেন তাদের
    ভাবনা মানুষকে জানাতে।
  • 2:14 - 2:19
    কিন্তু যে পরিস্থিতিতে কাউকে বিশ্বাসই
    করা যায়না, তারা কিভাবে এই কাজটি করতেন?
  • 2:19 - 2:22
    অতএব তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলো
    পরিচয় গোপন রেখে বিদ্রোহের।
  • 2:22 - 2:25
    তিনজন নিজেদের টাকা একত্রিত করে
    ছাপানোর জিনিসপত্র কেনে।
  • 2:25 - 2:28
    এক পরিচিত তাদের নিজের স্টুডিওর
    নীচের কুঠুরি ব্যবহার করতে দেয়।
  • 2:28 - 2:31
    গোপনে তারা নিজেদের বার্তার খসড়া
    তৈরি করতে থাকে।
  • 2:31 - 2:37
    ১৯৪২-এর জুনে পুরো মিউনিখে রহস্যজনক
    নাৎসিবিরোধী লিফলেট ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
  • 2:37 - 2:40
    লিফলেটগুলি “দ্য হোয়াইট রোজ" নামে
    সাক্ষরিত ছিলো।
  • 2:40 - 2:42
    প্রথম লিফলেটটিতে ছিলো হিটলারের সমালোচনা
  • 2:42 - 2:45
    এবং জার্মানদের প্রতি, যুদ্ধের
    প্রচেষ্টা নস্যাৎ-এর আহবান।
  • 2:45 - 2:47
    "নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলো...
  • 2:47 - 2:52
    এই নিরিশ্বরবাদী যুদ্ধের চাকা থামিয়ে দাও
    খুব দেরি হবার আগে,
  • 2:52 - 2:54
    এই নগরী পাথরের স্তূপ হবার আগে...
  • 2:54 - 2:58
    আমাদের দেশের শেষ তরুণটির
    রক্ত ঝরে শেষ হবার আগে...
  • 2:58 - 3:02
    এটা ভুলোনা যে প্রত্যেক মানুষ সে
    সরকারই পায় যা সে পাবার যোগ্য !"
  • 3:02 - 3:05
    সেসময় যখন একটি মজা করে বলা
    কথাও বিশ্বাসঘাতকতার তকমা পেতো,
  • 3:05 - 3:08
    সেখানে এই লিফলেটের ভাষা ছিলো অভূতপূর্ব।
  • 3:08 - 3:11
    লিফলেটটি মূলত লিখেছিলেন হান্স শল।
  • 3:11 - 3:16
    ১৯৪২-এ সোফিও মিউনিখে আসেন তার
    ভাইয়ের এই কাজ সম্পর্কে কিছু না জেনেই।
  • 3:16 - 3:18
    তবে জলদিই স্কুলে লিফলেটের দেখা
    পান তিনি।
  • 3:18 - 3:21
    কিন্তু হান্সের রুমে
    প্রমাণ পাওয়ার আগ পর্যন্ত
  • 3:21 - 3:23
    তিনি জানতেন না এটা কে লিখেছে।
  • 3:23 - 3:28
    এই ধাক্কা সামলানোর আগেই সোফি
    সিদ্ধান্ত নেন ভাইয়ের দলে যুক্ত হবার।
  • 3:28 - 3:34
    দুজনের জন্যই, এটা সময় ছিলো সেই রাগকে
    ছড়িয়ে দেয়ার যা তাদের মধ্যে বহুবছর ধরে ছিলো।
  • 3:34 - 3:40
    ১৯৪২-এর জুন থকে ১৯৪৩-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
    চারজনের দলটি অবিরাম কাজ করে।
  • 3:40 - 3:42
    গেস্টাপো যখন দলটিকে খুঁজছিলো,
  • 3:42 - 3:45
    “দ্য হোয়াইট রোজ" তখন সর্বদা সতর্ক ছিলো।
  • 3:45 - 3:50
    যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। আইন কড়া হয়,
    আর মিউনিখে শুরু হয় বিমানাক্রমণ।
  • 3:50 - 3:54
    কিন্তু হোয়াইট রোজ
    আরো গভীর উদ্যোগে যায়।
  • 3:54 - 3:58
    তারা দালান ও গেস্টাপোভর্তি ট্রেনেও
    দেয়ালচিত্র এঁকে দেয়।
  • 3:58 - 4:00
    ১৯৪২-এর শীতে,
  • 4:00 - 4:04
    হান্স চেকোস্লোভাকিয়ার বর্ডারে
    একটি অভিযানে যান
  • 4:04 - 4:06
    নাৎসিবিরোধী মতবাদীদের সাথে দেখা করতে।
  • 4:06 - 4:09
    ১৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩-এ,
  • 4:09 - 4:13
    সোফি এবং হান্স একটি লিফলেট ভর্তি স্যুটকেস
    নিয়ে তাদের বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে আসেন।
  • 4:13 - 4:18
    এক জিম্মাদার তাদের কাজকর্ম লক্ষ করে
    এবং গেস্টাপোকে জানায়।
  • 4:18 - 4:20
    দুজনই শান্তভাবে তাদের জড়িত
    থাকার কথা অস্বীকার করেন
  • 4:20 - 4:24
    যতক্ষণ না পুলিশ সব লিফলেট এক করে
    খালি স্যুটকেসে রাখে,
  • 4:24 - 4:27
    এবং সেখানে সব লিফলেট ঠিকমত এঁটে যায়।
  • 4:27 - 4:29
    এরপর যখন হান্স আর সোফি স্বীকার করেন,
  • 4:29 - 4:34
    তাদেরকে সাথে সাথে আদালতে পাঠানো হয় এবং
    শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
  • 4:34 - 4:40
    তবে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পরও দুজনই তাদের
    সহযোগীদের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানায়।
  • 4:40 - 4:45
    শিরচ্ছেদের আগে সোফি নিজের দেশের
    অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
  • 4:45 - 4:48
    একইসাথে তিনি ভবিষ্যতের জন্য
    আশাবাদও ব্যক্ত করে যানঃ
  • 4:48 - 4:52
    "আমরা কিভাবে ন্যায় আশা করি
    যেখানে বলতে গেলে কেউই
  • 4:52 - 4:56
    ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগ করতে রাজি নয়?
  • 4:56 - 5:00
    এত সুন্দর রোদেলা দিন আর আমাকে যেতে হচ্ছে,
  • 5:00 - 5:03
    কিন্তু আমার মৃত্যুতে কি আসে যায়
    যদি আমাদের কারণে
  • 5:03 - 5:08
    আরো হাজার মানুষ জাগ্রত হয়
    আর পদক্ষেপ নেয় ?"
Title:
হিটলারের বিরুদ্ধে করা ছাত্রদের গোপন প্রতিবাদ - ইসাল্ট গিলেসপি
Speaker:
ইসাল্ট গিলেসপি
Description:

পুরো পাঠটি দেখুনঃ https://ed.ted.com/lessons/the-secret-student-resistance-to-hitler-iseult-gillespie

১৯৪৩-এ নাৎসি জোটের বিমান দশ হাজারের মতো লিফলেট ছড়িয়ে দেয় নীচে থাকা নাৎসি জার্মানির উপর। লিফলেটগুলি আকুতি জানায় হিটলারকে প্রতিহতের, ভবিষ্যতের জন্য লড়াইয়ের- এবং কখনো আশা না ছাড়ার। তাদের এই ডাক ছড়িয়ে পড়ে ঘর থেকে ঘরে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে-- এমনকি বন্দি শিবির ও জেলখানাতেগুলোতেও। বার্তাগুলি সাক্ষরিত ছিলো "দ্যা হোয়াইট রোজ" নামে। ইসাল্ট গিলেসপি বিস্তারিত বলেছেন সেই প্রতিবাদী দলের গল্প।

পাঠটি করেছেন ইসাল্ট গিলেসপি, পরিচালনা করেছে ওয়াও-হাও স্টুডিও।

more » « less
Video Language:
English
Team:
closed TED
Project:
TED-Ed
Duration:
05:09

Bengali subtitles

Revisions Compare revisions